হযরত আয়েশা রাদি. বলেন, একবার একব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঘরে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করে। তখন তিনি বলেন, ‘তাকে আসার অনুমতি দাও। লোকটি বংশের নিকৃষ্ট লোক।’
ওই লোকটি ছিল মন্দ প্রকৃতির বিশৃঙ্খলা পরায়ণ। এ হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় যে, মন্দ প্রকৃতির লোকদের গীবত করা এ উদ্দেশ্যে জায়েয যে, সমাজের সবাইকে যেন তার অনিষ্টতা সম্পর্কে সতর্ক করা যায়। কেউ যেন তার মাধ্যমে প্রতারিত না হয়।
কাজেই আপনি যদি এমন কাউকে দেখতে পান, যার মাঝে অকল্যাণ ও মন্দত্ব আছে; অথচ লোকটি তার বয়ান ও বক্তৃতার যাদু দিয়ে লোকজনকে মন্ত্রমুগ্ধ করছে। মানুষ তার কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয় গ্রহণ করছে। মানুষ তাকে ভালো লোক মনে করছে। তখন আপনার জন্যে ওয়াজিব হলো, আপনি সবার কাছে ওই লোকের অবস্থান স্পষ্ট করে দেবেন যে, ওই লোকের মাঝে কল্যাণ নেই। ওই লোকের মন্দ বিষয়গুলো সবাইকে জানানো আপনার ওপর ওয়াজিব। এ উদ্দেশ্যে যে, মানুষ যেন তার প্রতারণার জালে ফেঁসে না যায়।
পৃথিবীর বুকে এমন অনেক বাগ্মী বক্তা আছে, যার কথার যাদু মানুষকে মুগ্ধ করে। যার শারীরিক আকার-অবয়ব দেখে সবাই বিমোহিত হয়। যার কথা শুনলে কান মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতে চায়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তার মাঝে কোনো দ্বীনি কল্যাণ নেই। এমন ব্যক্তির প্রকৃত বাস্তবতা সবাইকে জানানো ওয়াজিব।
[তথ্যসূত্রঃ ‘শরহু রিয়াদিস সালেহিন’ (খণ্ড- ৬, পৃষ্ঠা- ১৩৮), রচয়িতা- ইমাম নববি রহ., ব্যাখ্যাকার- শায়খ মুহাম্মদ ইবনে সালেহ আল উসাইমিন]

মুল কিতাবঃ
