গত সেপ্টেম্বরে (২০১৯) দিল্লীর নিযামুদ্দিন বাংলেওয়ালী মসজিদে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের কথিত ‘এতাআতি’ সাথীদের জোড় থেকে তাদেরকে এই তাকাজা দেয়া হয় যে, তারা যেন সমস্ত জেলা/থানা/হালকা/ইউনিয়ন/মসজিদগুলোতে তাদের ‘একক জিম্মাদার’ বা ‘একক আমীর’ নির্ধারন করে নেয়। তবে, কথিত ‘এতাআতি’ সাথীদের শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত তাদের জিম্মাদার/নেতৃস্থানীয় সাথীদের মাঝে অনাস্থাপূর্ণ হালতের কারণে তাদের দিল্লীর ঐ জোড় শেষে প্রায় ৩ মাস অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও তারা সেই তাকাজার ব্যাপারে কোন সুরাহায় পৌঁছতে পারেনি। এক পর্যায়ে শীর্ষ পর্যায় থেকে (কাকরাইল থেকে) প্রায় ৩ মাস পর গত ১৫ই নভেম্বর (২০১৯) ‘এতাআতি’ সাথীদের মাঝে লিখিতভাবে এলান করে দেয়া হয় যে, তারা যদি তাদের জিম্মাদার হিসেবে কারো ব্যাপারে একমত হয়ে যান, তাহলে তাদের নাম যেন ঢাকার শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বীদের নিকট লিখে পাঠায়। এরপর সেখান থেকেই চুড়ান্তভাবে জিম্মাদার নির্ধারন করে দেয়া হবে।
যেহেতু নিজেদের মাঝেই যথেষ্ট মতভেদ ও অনাস্থাপূর্ণ অবস্থা বিরাজমান, তাই জেলা/থানা/হালকা/ইউনিয়ন/মসজিদ পর্যায়ে এককভাবে কাউকে জিম্মাদার বানানোর ক্ষেত্রে কারো ব্যাপারে সবার একমত হয়ে যাওয়া তাদের জন্য বেশ কঠিন (অনেকক্ষেত্রে অসম্ভব)। তাই, তাদের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বীরা সাথীদের কাছ থেকে নামগুলো সংগ্রহ করে তারাই একজনকে নির্ধারন করে দিতে চাচ্ছেন।
জেলা/হালকা/ইউনিয়ন/মসজিদ পর্যায়ে কথিত ‘এতাআতি’ সাথীদের ‘একক জিম্মাদার’ বানানো নিয়ে ফিকির শুরু হলেও ‘বাংলাদেশের আমীর’ বানানোর বিষয়টা কিছুটা স্থগিত পর্যায়ে রয়েছে। আপাতত এখানে অলিখিতভাবে ‘অটো আমীর’ পদ্ধতি কার্যকর করা হয়েছে। মানে বর্তমানে তাদের যেসব শুরা-মুরুব্বীরা আছেন, তারা সবাই এক এক করে ইন্তেকাল করার পর সর্বশেষ যিনি জীবিত থাকবেন, তিনিই হবেন ‘বাংলাদেশের আমীর’। কেননা তৃণমূলে বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের ‘একক জিম্মাদার’ নির্ধারন করে দেয়া কিছুটা সম্ভব হলেও পুরো বাংলাদেশের জন্য ‘একক আমীর’ নির্ধারন করার ব্যাপারে নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে মারাত্মক কোন্দল ও মতভেদ।
